মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 

গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল!

 
   
 

 

শেখ মুজিবকে জাতির পিতা কিংবা বঙ্গবন্ধু হিসেবে মেনে নেওয়ার কোন যুক্তি নেই।

কোন ব্যক্তিকে জাতির পিতার মর্যাদা দেবার বিষয়টি জনগণের আবেগের সাথে জড়িত। শক্তি প্রয়োগ করে কিংবা আইনের দাপটে ঐ আবেগ সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। স্বাধিকারের আন্দোলনের মুজিবের অবদান অন্যান্য নেতাদের মতই সর্বজন স্বীকৃত। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিব যখন ক্ষমতাসীন হন তখন তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তার আমলেই দেশের সংবিধান প্রণীত হয়েছিল, সেখানে তাকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার জন্য জনগণের উপর কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি। মাত্র তিন বছরের মাথায় দুঃশাসনের জন্য তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ’৭৫ এর জানুয়ারীতে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচারী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তিনি পারিবারিক রাজতন্ত্রই কায়েম করেছিলেন। স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে জনগণকে মুক্ত করেছিল ১৫ই আগষ্টের বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের পর খন্দোকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান তার সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। বাকশালীয় সাংসদরা মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদও করলেন না; শেখ মুজিবের মন্ত্রীদের বৃহদাংশ মোশতাক সরকারে যোগ দিলেন। রক্ষী বাহিনীর প্রধান কোন প্রতিক্রিয়াও দেখালেন না। পক্ষান্তরে জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্তভাবে যে প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল সে কথা ঐ সময়ে যাদের বয়স অন্ততঃ ১০/১২ বছর তাদেরও স্পষ্ট মনে থাকার কথা। গত ১৫ই জুলাই ২০০১ সালের রাতে কেয়ারটেকার সরকার কায়েম হবার পরপরই স্বতঃস্ফুর্তভাবে জনগণ বিপুল সংখ্যায় মুক্তির আনন্দ যেভাবে প্রকাশ করেছে, ’৭৫ এর আগষ্টে জনগণ এর চেয়েও বহুগুন বেশি আবেগ-উচ্ছাস ও আনন্দে মেতে উঠেছিল। উপরোক্ত প্রতিক্রিয়া এ কথাই প্রমাণ করে যে, শেখ মুজিবকে জনগণ জাতির পিতা হিসেবে শ্রদ্ধা করেনি। বরং তার কুশাসন থেকে মুক্তি পেয়ে পরম স্বস্তি বোধ করেছে। এবং আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এতেও প্রমাণিত হয় যে, শেখ মুজিব কখনোই জনগণের মনে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেনি। তা না হলে তার নিহত হবার কারণে রাস্তায় নেমে জনগণ অবশ্যই বিলাপ করতো। বিলাপ করা তো দূরের কথা কেউ প্রকাশ্যে সেদিন ‘ইন্নালিল্লাহ....’ পড়েছে বলেও নাকি জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধু উপাধিতে যারা তাকে ভূষিত করেছিল তারাই আবার সে উপাধি ফিরিয়ে নিয়েছিল। এ ব্যাপারে পূর্বে আলোচিত হয়েছে।

 
 
 
     
     
  Design & Developed By: Hemu
All Rights Reserved 2008 @www.majordalimbangla.net