মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 

কোলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্রগুলো

 
   
 

মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন খবর কিংবা তথ্য জানার জন্য ঐ সমস্ত প্রাণ কেন্দ্রগুলোই ছিল মূল উৎস।

ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত ৩নং সোহরাওয়ার্দী এ্যাভেনিউ জনাব আর আই চৌধুরির সরকারি বাসভবন হলেও তখন ঐ বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন প্রায় সমাজের ভিআইপি এবং ভিভিআইপি-দের প্রায় ১৭টি পরিবার। তাই সোহরাওয়ার্দী এ্যাভেনিউ সেই সময় হয়ে উঠেছিল দেশের এলিট শ্রেণীর আশ্রয়স্থল। এদের মধ্যে ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, নামিদামী শীর্ষস্থানীয় আমলা, ব্যবসায়ী, পুলিশ, আর্মি এবং প্রচার মাধ্যমের লোকজন। উল্লেখযোগ্য হলেন বেগম সাজেদা চৌধুরি এবং তার স্বামী জনাব গোলাম আকবর চৌধুরি এবং পরিবার, জনাব মুস্তাকিম চৌধুরি এবং তার স্ত্রী এ্যানাখালা এবং পরিবার, রাফি আকতার ডলি, জনাব আসাদুজ্জামান এবং পরিবার, জনাব আলি আকবর খান, জনাব কামাল সিদ্দীকি, জনাব খসরুজ্জামান এবং তার স্ত্রী লুসি খালা, জনাব মামুনুর রশিদ এবং তার স্ত্রী রাকা, জনাব আব্দুল খালেক এবং তার পরিবার, জনাব ওয়ালীউর রহমান এবং ব্রজেন দাস। এদের অবস্থানের ফলেই এই বাড়িটি হয়ে উঠেছিল খবরা-খবরের বিশেষ প্রধান কেন্দ্র। অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ছিল থিয়েটার রোড ছাড়াও ১৯নং সার্কাস এ্যাভেনিউ এর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাস, প্রিন্সেপ ষ্ট্রিটের বামপস্থীদের আড্ডা, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, সিইইনসির হেডকোয়াটার্স, বাংলাদেশ থেকে আগত তরুণদের আড্ডা শিয়ালদাহ এবং বাংলাদেশ বেতার।

এ সমস্ত জায়গাগুলো রাতদিন চব্বিশ ঘন্টাই লোকে লোকারণ্য হয়ে থাকতো এবং সব ধরনের খবরা-খবর এবং গুজব নিয়ে সবাই মেতে থাকতো। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামকালে কোথায় কি ঘটেছে, গুজব কি রটেছে তার সবকিছুই জানা সম্ভব হতো ঐ সমস্ত জায়গাগুলো থেকে।