মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 

মেজর জলিল (বীর উত্তম) বন্দী হলেন

 
   
 

মেজর জলিল ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটে তিনি বাধা দিয়েছিলেন।

পাকিস্তান আর্মির সারেন্ডারের পর ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ার, গোলাবারুদ, যুদ্ধ সরঞ্জাম, কলকারখানার মেশিনপত্র সবকিছুই লুট করে ভারতে পাচাঁর করতে থাকে। মেজর জলিল এ সমস্ত লুটপাটের বিরোধিতা করেন। তার সাহসিকতা অন্যান্য সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ‘মিত্র বাহিনীর’ লুটপাটে বাধা প্রদানে উৎসাহিত করে তোলে। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তার ঐ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য সরকার তাকে বন্দী করে। ষড়যন্ত্রের জাল ফেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সমগ্র জাতি সরকারের ঐ ধরণের আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১১ই মার্চ বরিশালে মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের এক বিশাল সমাবেশে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার জোর দাবি উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি উত্থাপিত হয়েছিল সেনা বাহিনীর তরফ থেকেও। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করে, “তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং আর্মি রুলস এর অধিনেই তার বিচার করা হবে।” সরকারের ঐ ঘোষণার পর বিক্ষোভ আরো বৃদ্ধি পায়। আর্মি, মুক্তিযোদ্ধা এবং জনগণ ক্ষেপে উঠে। প্রচন্ড গণচাপের মুখে সরকার বাধ্য হয় মেজর জলিলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে।