মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 
শেখ কামাল প্রধানমন্ত্রীর জেষ্ঠ পুত্র ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করে
 
   
 

১৯৭৩ সালের শেষের দিকে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় অবস্থা। সেই সময় ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয় শেখ কামাল।

১৯৭৬ সালের শেষ নাগাদ দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। দেশে বিশৃংখলা সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত লোকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কিচ্ছা-কাহিনী তখন প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছিল। জনগণ খোলা দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরোধিতা করছিল। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্দ্ধগতি দৈনন্দিন জীবন সামগ্রী সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে গিয়ে দাড়িয়েছিল। জীবনধারণের নুন্যতম প্রয়োজন মেটাতে জনগণের তখন নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থায় সরকার ৬৩ কোটি টাকার নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়লো। এতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেল। ঐ নৈরাজ্যিক সময়ে এক লোমহর্ষক ব্যাংক ডাকাতি সংঘঠিত হয় রাজধানী ঢাকায়। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ ধাওয়া করে ডাকাতদের। ধাওয়াকালে দু’পক্ষেই গুলি বিনিময় হয়। ৬ জন ডাকাত ধরা পড়ে। এই ৬ জনের একজন ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল। শেখ কামালসহ কয়েকজন দুস্কৃতিকারী আহত হয় পুলিশের গুলিতে। কিন্তু পুলিশের বিবৃতিতে পরে বলা হয়, “দুস্কৃতিকারীদের ধাওয়াকালে দুর্ঘটনাক্রমে শেখ কামাল ও তার সঙ্গীরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়।”