মেজর ডালিম বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

 

 

 
 
..ডালিম বলছি
..যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
..জীবন বৃত্তান্ত
..সমসাময়িক ভাবনা
..প্রকাশিত বইসমগ্র
..কিছু কথা কিছু ব্যাথা
..ইংরেজী ভার্সন    
 

অপহরণের ঘটনা সেনাবাহিনীতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে

 
   
 

 

সেই কালোরাত্রির পরদিন আমাকে সেনা সদরে তলব করে পাঠানো হয়।

আর্মি হেডকোয়াটার্সে উপস্থিত হয়েই জানতে পারলাম চীফ আমাকে ডেকেছেন। কিন্তু তার আগেই ডাক পড়ল জেনারেল জিয়ার অফিসে। মেজর হাফিজ তখন PS-Cord to DCAS. সেই আমাকে খবর দিল জেনারেল জিয়া আমার সাথে কথা বলতে চান। তিনি আমার অপেক্ষায় আছেন। অনুমতি নিয়ে গিয়ে ঢুকলাম তার অফিসে। গতরাতে কি ঘটেছে তিনি জানতে চাইলেন। সবকিছুই বিস্তারিত খুলে বললাম তাকে। সব শুনে তিনি বেশ উত্তেজিতভাবেই বললেন,
-This is incredible and ridiculous. This is simply not acceptable. ঠিক আছে দেখ চীফ কি বলে।
তার অফিস থেকে বেরিয়ে আসতেই হাফিজ তার ঘরে নিয়ে গেল। নূরও ছিল সেখানে। হাফিজ বলল, “দ্যাখো ডালিম; গতরাতের বিষয়টা শুধুমাত্র তোমার আর ভাবীর ব্যাপারই নয়; সমস্ত আর্মির Dignity, pride and honour are at stake মানে আমরা সবাই এর সাথে জড়িত। You got to understand this clearly ok? অন্যান্য সব ব্রিগেডের সাথে আলাপ হয়েছে তারাও এ ব্যাপারে সবাই একমত। This has got to be sorted out right and proper. শেখ মুজিব কি বিচার করবে? আমরা শফিউল্লাহর মাধ্যমে দাবি জানাবো আর্মির তরফ থেকে। প্রধানমন্ত্রীকে সে দাবি অবশ্যই মানতে হবে। দাবিগুলোও আমরা ঠিক করে ফেলেছি। তুমি শফিউল্লাহ কি বলে সেটা শুনে আস তারপর যা করবার সেটা আমরা করব।”

আর্মি হেডকোয়াটার্স এ সমস্ত তরুণ অফিসারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। হাফিজের অফিস থেকেই চীফের ADC -কে ইন্টারকমে জানালাম,
-I am through with DCAS so I am free now to see the Chief.
Right Sir. বলে রিসিভার নামিয়ে রাখলো ADC. কিছুক্ষণ পরই ADC হাফিজের কামরায় এসে জানাল চীফ আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। চীফের অফিসে ঢুকতেই তিনি আমাকে বসতে বললেন। চেয়ার টেনে বসলাম মুখোমুখি।
-How are you?
-Fine Sir.
-How is Nimmi?
-She is ok Sir, but terribly upset.
-Quite natural. But she is a brave girl I must say. The way she talked to the Prime minister was really commendable. এ সমস্ত কথার পর আসল বিষয়ের অবতারনা করলেন জেনারেল শফিউল্লাহ,
-দেখ ডালিম, গতরাতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুঃখ এবং অনুতাপ প্রকাশ করেছেন। I am also very sorry about the whole affair. শেখ সাহেবতো তোমাদেরও আপনজন। অত্যন্ত স্নেহ করেন তোমাদের দু’জনকেই। তিনি যখন চাইছেন তুমি গাজীকে মাফ করে দাও, তার সে ইচ্ছা তুমি পূরণ করবে সেটাইতো তিনি আশা করছেন। তুমি যদি গাজীকে মাফ কর তবে তিনি খুশী হবেন তাই নয় কি?
-স্যার, তিনি আমাদের বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। পারিবারিকভাবে আমাদের ঘনিষ্ঠতাও আছে; সেটাও সত্য। তিনি ও তার পরিবার আমাদের ভালোবাসেন। কিন্তু নীতির ব্যাপারে আপোষ আমি করতে পারব না সেটা আপনার সামনেই তাকে আমি বলে এসেছি। And I shall stick to that till the end.
- Well that’s up to you then. I have nothing more to tell you.
- Thank you Sir. বলে বেরিয়ে এসে দেখি চীফের অফিসের সামনে AHQ -র প্রায় সব অফিসার একত্রিত হয়ে দাড়িয়ে আছে। তারা আমার কাছ থেকে জানতে চাইলো চীফ কি বললেন। আমি আমাদের কথোপকথনের সবটাই তাদের হুবহু খুলে বললাম। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল সবাই। একজন ADC কে বলল, “Go and call him out here, we want to talk to him.”
ADC-র মাধ্যমে অফিসারদের অভিপ্রায় জানতে পেরে বেরিয়ে এলেন জেনারেল শফিউল্লাহ। সবাই তাকে ঘিরে দাড়াল। চীফ বললেন,
-বলো তোমাদের কি বলার আছে ?
-স্যার, গতরাতের ঘটনা শুধুমাত্র মেজর ডালিম এবং তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। আমরা আজ যেখানে দুস্কৃতিকারী দমনের জন্য সারাদেশে ডেপ্লয়েড সেই পরিস্থিতিতে বিনা কারণে গাজী ও তার সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে আমাদেরই একজন অফিসার এবং তার স্ত্রীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনীই নয়; It has compromised the honour and the dignity of the whole armed forces particularly army. We can’t take it lying. It has got to be sorted out right and proper. কথাগুলো বলল একজন। জেনারেল শফিউল্লাহ জবাবে বলার চেষ্টা করলেন,
- Well, the Prime minister is personaly very sorry about the whole affair.
- That’s not enough! শফিউল্লাহকে থামিয়ে দিল একজন।
- Now Sir, you being our Chief and the leader have to shoulder your responsibility to uphold the honour and the dignity of this army. সমগ্র সেনাবাহিনীর তরফ থেকে আমাদের ৩টি দাবি আপনাকে জানাচ্ছি।
১। গাজীকে তার সংসদপদ এবং অন্যান্য সমস্ত সরকারি পদ থেকে এই মুহুর্তে অব্যাহতি দিয়ে তাকে এবং তার অবৈধ অস্ত্রধারীদের অবিলম্বে আর্মির হাতে সোপর্দ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে; যাতে করে আইনানুযায়ী তাদের সাজা হয়।
২। গতরাতের সমস্ত ঘটনা সব প্রচার মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে দেশের জনগণকে অবগত করার অনুমতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
৩। যেহেতু গাজী আওয়ামী লীগের সদস্য সেই পরিপ্রেক্ষিতে পার্টি প্রধান হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে মেজর ডালিম এবং তার স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আপনাকে আমাদের এই ৩টি দাবি নিয়ে যেতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এ দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। এই দাবিগুলি আপনি যদি আদায় করতে অপারগ হন তবে You have got no right to sit on your chair. You will be considered not fit enough to lead this army.

ঘাবড়ে গিয়ে ঢোক গিলতে লাগলেন জেনারেল শফিউল্লাহ। থতমত খেয়ে বেসামাল অবস্থায় কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন তিনি কিন্তু তার আগেই লেফটেন্যান্ট সামশের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম তার কোমরের বেল্ট খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিল জেনারেল শফিউল্লার পায়ের কাছে,
- We serve the army for our pride, honour and dignity. If that is not there then I hate to serve that army any longer.
উত্তেজিতভাবে উপস্থিত সবাই একই সাথে বলে উঠল,
- Sir, you got to restore our lost honour and dignity. We have had enough humiliation but no more. Sir, please don’t be afraid. We all are with you. Just try to understand the gravity of the problem and be one of us.

বাইরের শোরগোল শুনে জেনারেল জিয়া কখন বেরিয়ে এসেছিলেন আমরা খেয়ালই করিনি। হঠাৎ তিনি তার গুরুগম্ভীর গলায় বলে উঠলেন,
- Boys be quite and listen to me, I have heared everything and I appreciate your sentiment. I have also understood the problem. Your demands are just and fair. Shafiullah you must go with their demands to the Prime minister and make him understand the gravity of the situation and suggest him to accept the demands for the greater interest of the nation and the armed forces.
জেনারেল শফিউল্লাহ যেন ধরে প্রাণ ফিরে পেলেন। বললেন,
-আমি এখনই যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তক্ষুণি তিনি বেরিয়ে গেলেন গণভবনের উদ্দেশ্যে। তখন দুপুর পেরিয়ে গেছে। শফিউল্লাহ চলে যাবার পর আমরাও মেসে চলে এলাম লাঞ্চের জন্য। এখানে একটা বিষয় প্রাণিধানযোগ্য। শফিউল্লাহকে যখন ঘেরাও করা হয়েছিল তখন সেখানে কর্নেল এরশাদও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য PSO -দের সাথে। তিনি তখন AG (Adjutant General) হিসাবে হেডকোয়াটার্স-এ পোষ্টেড ছিলেন। এক সময় জেনারেল শফিউল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,
-এরশাদ তোমার অভিমত কি ?
- Sir, I think their demands are quite legitimate. এ ধরণের ঘটনা আপনার কিংবা আমার সাথেও ঘটতে পারত। যেখানে Army is deployed to maintain law and order and engaged in anti-miscreant drive  সেখানে এ ধরণের একটা ঘটনাকে শুধুমাত্র ডালিম-নিম্মীর ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে কানসিডার করা উচিত হবে না। It is definitely a question of honour and prestige of the entire army and you being the Chief must make this point clear to the Prime minister and advise the PM correctly to restore the lost honour by accepting the demands.

তার জবাব শুনে আমরা বেশ কিছুটা আশ্চর্যই হয়েছিলাম। কারণ, তিনি ছিলেন একজন Repatriated officer তিনি সাহস করে ঐ ধরণের স্পষ্ট বক্তব্য রাখবেন সেটা আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। এতেই প্রমাণিত হয় পাকিস্তান প্রত্যাগতদের মাঝে অনেকেই ছিলেন ন্যায়পরায়ণ। সন্ধ্যার দিকে চীফ ফিরলেন গণভবন থেকে; সারাদিন দরবার করে। রাত ৮টার দিকে তিনি আমাদের কয়েকজনকে ডেকে পাঠালেন সেনা ভবনে। সেখানে গিয়ে দেখি কর্নেল সাফায়াত এবং ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও উপস্থিত রয়েছেন। আমরা কুশলাদী বিনিময় করে সবাই বসলাম। চীফ শুরু করলেন,
-আমি প্রধানমন্ত্রীকে তোমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। তিনি সময় চেয়েছেন। প্রাইম মিনিষ্টার যখন সময় চেয়েছেন তখন তাকে সময় আমাদের দিতে হবেই। চীফের কথার মাঝে ফোঁড়ন কাটছিলেন কর্নেল সাফায়াত। ব্রিগেডিয়ার খালেদ নিশ্চুপ বসেছিলেন।
-স্যার ‘তোমাদের দাবিগুলো’ বলে আপনিকি এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে আপনার ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে? দাবিগুলো ছিল entire army-র তরফ থেকে। তবে কি আমাদের বুঝতে হবে আপনি বা আপনারা মানে the senior lots are not with us ? জানতে চাওয়া হল জেনারেল শফিউল্লাহর কাছ থেকে। তিনি এ ধরণের কথায় একটু ঘাবড়ে গেলেন। চালাক প্রকৃতির ব্রিগেডিয়ার খালেদ অবস্থা আঁচ করতে পেরে শফিউল্লাহর হয়ে জবাব দিলেন,
- Boys don’t have wrong impression. Offcourse we all are together. How could we be different on this issue?
-কিন্তু স্যার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মানবেন না। সময় চেয়ে নিয়ে তিনি প্রথমত: ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত: তার অবস্থানকে পোক্ত করার জন্যই সময় চেয়েছেন তিনি। যদি শেষ পর্যন্ত তিনি আমাদের দাবি মানতে রাজি না হন তবে কি করা হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানতে চাই আমরা।
তিনজনই এ কথার কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে বসে থাকলেন।
- Well Sir, if you don’t have any idea what to do next then we shall think what needs to be done. বলে চলে এসেছিলাম আমরা। আজিজ পল্লীর এক বাসায় বৈঠকে বসলাম আমরা। বিষয়বস্তু: দাবি মানা না হলে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে। অন্যান্য ব্রিগেডের সাথে যোগাযোগ করে মতামত বিনিময় করা হচ্ছিল সবসময়। রাত প্রায় ১১টার দিকে খবর পেলাম জেনারেল শফিউল্লাহর সাদা ডাটসন কারে দু’জন লোক সিভিল ড্রেসে চাদর মুড়ি অবস্থায় ২নং গেইট দিয়ে বেরিয়ে ৩২নং ধানমন্ডির দিকে যাচ্ছে। একজন young officer -কে মোটর সাইকেল নিয়ে গাড়িকে ফলো করতে বলা হল। রাত প্রায় ১১:৩০ মিনিটে ঐ অফিসার ফিরে এসে জানাল গাড়িতে ছিলেন জেনারেল শফিউল্লাহ এবং কর্নেল সাফায়াত। তারা গিয়ে ঢুকেছিলেন শেখ সাহেবের বাসায়। রাত প্রায় ১২:৩০ মিনিটের দিকে খবর আসতে লাগল শহরে রক্ষীবাহিনীর মুভমেন্ট শুরু হয়ে গেছে। দুইএ দুইএ চার; মিলে গেল হিসাব। শফিউল্লাহ এবং সাফায়াত শেখ সাহেবের একান্ত বিশ্বাসভাজন বিধায় ৩২নম্বরে গিয়ে আমাদের সন্ধ্যার আলোচনার সবকিছুই জানিয়ে এসেছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে শহরে রক্ষীবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে; আর্মির তরফ থেকে যেকোন move এর মোকাবেলা করার জন্য। নিজেদের প্রতি তার অনুকম্পা আরো বাড়াবার জন্যই ব্যক্তি পূঁজার এক ঘৃণ্য উদাহরণ! রাত আড়াইটার দিকে বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে খবর আসতে লাগল মধ্যরাত্রির পর থেকে ভারতীয় বাহিনীর অস্বাভাবিকভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তার মানে নিজের নিরাপত্তার জন্য শেখ মুজিব শুধুমাত্র তার অনুগত রক্ষীবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর তার তল্পিবাহক নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে স্বস্তি পাচ্ছেন না; তাই বন্ধু রাষ্ট্রের সাহায্যও চেয়ে বসেছেন মৈত্রী চুক্তির আওতায়। আমরা কয়েকজন শহর ঘুরে দেখলাম খবরগুলো সত্যি। দুঃখ হল, পেশাগত নিজ যোগ্যতায় নয় শেখ মুজিবের বদন্যতায় যারা একলাফে মেজর থেকে জেনারেল বনে গেছেন তারা নিজেদের চামড়া পর্যন্ত বিকিয়ে দিয়ে বসে আছেন শেখ সাহেব এবং তার দলের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। ব্যতিক্রম অবশ্য ছিল; জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন তেমনি একজন। কিন্তু কথায় আছে Exception is never an example. ধিক্কার এসে গিয়েছিল আমাদের মনে এসমস্ত মেরুদন্ডহীন মতলববাজ সিনিয়র অফিসারদের চারিত্রিক দুর্বলতা জানার পর। পরদিন শফিউল্লাহর ডাক পড়ল গণভবনে। ফিরে এসেই আমাকে ডেকে পাঠালেন তিনি। গত দু’দিনের তুলনায় আজ তাকে বেশি confident দেখাচ্ছিল,
-Well Dalim, the Prime minister has asked for time as you have been already told. Meanwhile, I am ordering a court of inquiry about the whole matter that has happened so far just for an official record. Once the court of inquiry is finished you will go back to Comilla
- Right Sir.  বলে সেল্যুট করে বেরিয়ে এসেছিলাম তার অফিস কক্ষ থেকে। কি অদ্ভুত যুক্তি! দোষ করল গাজী গোলাম মোস্তফা আর court of inquiry হবে আমার! বর্তমান অবস্থায় চীফের হুকুম মেনে নিয়ে court of inquiry -র পরিণাম পর্যন্ত চুপচাপ থাকতে হবে সিদ্ধান্ত হল। court of inquiry শেষ করে কয়েকদিন পর কুমিল্লায় ফিরে এলাম।