শেষকথা

এখনই সময়। ভাবতে হবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে, সে যেই প্রজন্মেরই হউকনা কেনও, দাসত্ব নাকি স্বাধীনতা। লক্ষ প্রাণের শাহাদত, অগুণতিমা-বোনের ইজ্জতের আহূতি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করে গর্বিত সাহসী বাংলাদেশী হিসেবে মাথা উঁচু করে নিজস্ব সত্তা বজায় রাখার তাগিদে, সবচক্রান্ত এবং রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা কোরে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে তারা প্রস্তুত কিনা। ধোঁকাবাজ গিরগিটি চরিত্রের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, স্বঘোষিতসুশীল সমাজেরমাথা, ধড়িবাজ, পোষা, বিবেক বর্জিত বুদ্ধিজীবীদের কপচানো মিথ্যার অন্ধকার চোরা গলিতে ঘুরপাকে বিগত চার দশকেরও বেশি সময় নষ্ট করে দেশ আজ বিলুপ্তির শেষ প্রান্তে। এরপরও নীরব দর্শক হয়ে থাকবে সচেতন আমজনতা? পূর্বসূরিদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা নামক ফুলটিকে বাঁচানোর প্রত্যয় কি শুধুমাত্র বটমূলে বসে পান্তাইলিশ খাওয়া আর ঘুম পারানি গানের মধ্যেই থাকবে সীমাবদ্ধ? এখনি ‘৭১-এর সত্যিকারের মৌলিক প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে জেগে উঠতে হবে নবীন প্রজন্মকে আরেকবার। গর্জে উঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে পূর্বসূরিদের মতো আগ্রাসী অপশক্তি এবং তাদের লালিতপালিত জাতীয় তল্পিবাহক এবং সেবা

দাস-দাসীদের ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের মোকাবেলায় সার্বিক মুক্তির আর একটি সার্বিক মুক্তির যুদ্ধে। যেকোনো মূল্য এবং ত্যাগের বিনিময়ে প্রমাণ করতে হবে, ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী সংগ্রামী ঐতিহ্যের অধিকারী। একটি পরীক্ষিত বীরের জাতি কখনোই মেনে নিতে পারেনা অরক্ষিত স্বাধীনতার নামে পরাধীনতা। তাদের প্রাপ্য প্রকৃত স্বাধীনতা এবং সার্বিক মুক্তি।

সমাপ্ত